ইবার্তা টুয়ে্টিফোর প্রতিবেদক : জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় সিম রেজিস্ট্রেশন ও মোবাইল সেবা, ব্যাংক একাউন্ট ও ইনস্যুরেন্স করাসহ বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে গত তিন বছর যাবত নিবন্ধনকারী নতুন ভোটাররা।
লেমিনেটিং পরিচয়পত্র দেয়া বন্ধ রয়েছে। এর পরিবর্তে মেশিন রিড্যাবল স্মার্ট কার্ড দেয়ার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সাল থেকে নিবন্ধন করা প্রায় ১ কোটি ১৮ লাখ নতুন ভোটার এখনো জাতীয় পরিচয়পত্র পায়নি। এছাড়া ভুল-ত্রুটিজনিত কারণে বিপুল সংখ্যক ভোটারের স্মার্ট কার্ড স্থগিত রয়েছে।
পরিচয়পত্রের অভাবে বিবাহ এবং জমি ক্রয়-বিক্রয় ইত্যাদি বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। ইতোমধ্যে পিএসসি ৩৮তম বিসিএস পরীক্ষা থেকে জাতীয় পরিচয় পত্র বাধ্যতামূলক করেছে। কিন্তু পরীক্ষায় আবেদনকারীরা এখনো পরিচয়পত্র পাননি।
শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায় ২০১৪ সালে আবেদন করা ছাত্রছাত্রীদের অনেকেই ২০১৫ ও ২০১৬ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করা সত্ত্বেও জাতীয় পরিচয় পত্রের না থাকায় ব্যাংক একাউন্ট খোলাসহ অনেক গুরুত্বপূর্ন কাজ করতে পারছে না।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, সকল ভোটারদের স্মার্ট পরিচয় পত্র প্রদানে ২০১৫ সালে একটি প্রোজেক্ট গ্রহন যেখানে ফ্রান্সের একটি ডিজিটাল নিরাপত্তা কোম্পানিকে স্মার্ট কার্ড তৈরির দায়িত্ব দেয়া হয়। গত বছরের জুনে কার্ড সরবরাহ করার কথা থাকলেও উক্ত কোম্পানি কাজ সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হয়। চুক্তির সময়সীমা বৃদ্ধি করে এ বছরের জুন পর্যন্ত মাত্র ২.৮৬ শতাংশ ভোটার স্মার্ট কার্ড পেয়েছে। কোম্পানির প্রেরিত সাড়ে সাত কোটি ব্ল্যাংক কার্ডের মধ্যে ১ কোটি ২৪ লক্ষ ভোটারের তথ্য সন্নিবেশ করতে পেরেছে, অবশিষ্ট ১ কোটি ৯৮ হাজার ব্ল্যাংক কার্ড বিভিন্ন থানা ও উপজেলায় প্রেরণ করা হয়। ইসি সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব জনবল দিয়ে কাজ সম্পন্ন করা হবে।
নতুন ভোটাররা ২৫টি সুবিধা সম্বলিত স্মার্ট পরিচয় পত্র কবে পাবে তার সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, ভোটারদের অত্যাধুনিক ডিজিটাল পরিচয় প্রদানের লক্ষ্যে Identification System for Enhancing Access to Services (IDEA) নামের প্রকল্পটি বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের যৌথ অর্থায়নে পরিচালিত।