কক্সবাজারে পুলিশের গুলিতে নিহত সাবেক সেনাকর্মকর্তা সিনহা রাশেদ খানের মায়ের সাথে টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী নিহতের মা নাসিমা আক্তারকে ফোন করে সান্ত্বনা দেওয়ার পাশাপাশি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের আশ্বাস দেন।
একই তিনি নাসিমা আক্তারকে আর্থিক সহায়তারও আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
খোঁজ-খবর নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছে সিনহা রাশেদ খানের পরিবার।
গত শুক্রবার দিবাগত রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা রাশেদ খান।
ঘটনার পর পুলিশের দাবি করে, ‘ওই সাবেক সেনাকর্মকর্তা তার ব্যক্তিগত গাড়িতে এক সঙ্গীসহ টেকনাফ থেকে কক্সবাজার যাচ্ছিলেন। চেকপোস্টে পুলিশ গাড়িটি থামিয়ে তল্লাশি করতে চাইলে তিনি বাধা দেন।
এ নিয়ে তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে সেনাকর্মকর্তা তার সঙ্গে থাকা পিস্তল বের করার চেষ্টা করেন। তখন পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায়।’
তবে পুলিশের এই দাবি মানতে পারেনি নিহতের পরিবার। তারা মনে করছেন, রাশেদকে ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ হত্যা করা হয়েছে।
পুলিশ আরও দাবি করে, সাবেক ওই সেনাকর্মকর্তার গাড়ি তল্লাশি করে ৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, কিছু গাঁজা ও দুটি বিদেশি মদের বোতল পাওয়া গেছে।
ঘটনার পর দুটি মামলা করে পুলিশ।
সিনহা রাশেদ খান ২০১৮ সালে সেনাবাহিনী থেকে স্বেচ্ছা অবসরে যাওয়ার পর ‘লেটস গো’ নামে একটি ভ্রমণ বিষয়ক ডকুমেন্টারি বানানোর জন্য গত প্রায় একমাস ধরে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকায় ছিলেন। এই সময়টায় আরও তিন সঙ্গীকে নিয়ে ‘নীলিমা’ নামের একটি রিসোর্টে অবস্থান করছিলেন তিনি।
ঘটনার দিন ডকুমেন্টারির শুটিংয়ের কাজ শেষে করে ওই রিসোর্টে ফিরছিলেন রাশেদ এবং তার এক সঙ্গী।