প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে আগামী ৩০ নভেম্বর ঢাকা সফরে আসবেন রোমান ক্যাথলিক চার্চের প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস। ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত মিয়ানমার ও ঢাকায় অবস্থান করবেন তিনি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই সফরে পোপ ফ্রান্সিস রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এছাড়া বাংলাদেশের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের উদ্দেশেও বক্তব্য দেবেন তিনি।
এর আগে গত রোববার পোপ ফ্রান্সিস এক বিবৃতিতে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন বন্ধের আহ্বান জানান।
এদিকে গতকাল পোপের সফর উপলক্ষ্যে রাজধানীর কাকরাইলে আর্চবিশপ হাউসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভ্যাটিক্যান রাষ্ট্রদূত মিয়ানমারের রাখাইন রোহিঙ্গারে উপর নির্যাতনের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি রোজারিও বলেন, রোহিঙ্গারা মানুষ। তারা যেন উদ্বাস্তু হয়ে না থাকে পোপ সবসময় সেই শিক্ষাই আমাদের দিয়েছেন। তিনি তার নৈতিক দায়িত্ব পালন করছেন।’
উল্লেখ্য, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, পোপের বাংলাদেশ সফরের বিষয়টি গত প্রায় দেড় বছর ধরে আলোচনায় ছিল। তবে এবারই প্রথম বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে তার সফরসূচি নিশ্চিত করা হলো। পোপের সফরের প্রস্তুতি চূড়ান্ত করতে ভ্যাটিকানের একটি প্রতিনিধি দল সম্প্রতি বাংলাদেশ ঘুরে গেছে। ১৯৮৬ সালে পোপ দ্বিতীয় জন পলের পর ফ্রান্সিসই প্রথম পোপ, যিনি বাংলাদেশে আসছেন।
২০১৩ সালের ১৩ মার্চ ভ্যাটিকানের ২৬৬তম পোপ নির্বাচিত হন ফ্রান্সিস। রোমের বিশপ হিসেবে তিনি বিশ্বব্যাপী ক্যাথলিক চার্চ এবং সার্বভৌম ভ্যাটিকান সিটির প্রধান। পোপ ফ্রান্সিসের জন্ম ১৯৩৬ সালের ১৭ ডিসেম্বর আর্জেন্টিনার বুয়েনস আইরেসে। ক্যাথলিক পুরোহিত হিসেবে তার অভিষেক হয় ১৯৬৯ সালে। পুরো আমেরিকা অঞ্চল এবং দক্ষিণ গোলার্ধ থেকে নির্বাচিত প্রথম পোপ তিনি।
গত বছরের অক্টোবরে তিনি যে ১৭ জনকে কার্ডিনাল হিসেবে মনোনীত করেন, তাদের মধ্যে বাংলাদেশের আর্চবিশপ প্যাট্রিক ডি রোজারি একজন। তিনিই বাংলাদেশের প্রথম কার্ডিনাল।