1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

হোম কোয়ারেন্টিনের বিপদ এড়াতে করণীয়

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বুধবার, ১৫ জুলাই, ২০২০

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ার সাথে সাথে সমানভাবে বাড়ছে হোম কোয়ারান্টিনে থাকা মানুষজনের সংখ্যাও। বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী চিকিৎসকেরা অনেককেই হাসপাতালের পরিবর্তে হোম কোয়ারান্টিনে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন। কিন্তু একই বাড়িতে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে হোম কোয়ারান্টিন ঠিক কতটা কার্যকরী হচ্ছে? এক্ষেত্রে কী কী করা উচিত? দেখে নিন:
– আপনি এবং পরিবারের অন্য কেউ যদি কভিড-১৯ দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকেন তবে অন্যান্য সদস্যদের থেকে নিজেদের দূরে রাখুন। আক্রান্ত ব্যক্তিরা প্রত্যেকে আলাদা আলাদা রুমে নিজেদের গৃহবন্দি রাখুন এবং প্রত্যেকে আলাদা আলাদা বাথরুম ব্যবহার করুন। খোলামেলা, আলো-বাতাস প্রবেশ করে এমন ঘর হোম কোয়রান্টিনের জন্য উপযুক্ত।
– অসুস্থ ব্যক্তির ব্যবহৃত জিনিসপত্র অন্যদের না ছোঁওয়াই ভালো। তাঁর জন্য সাবান, তোয়ালে বা গামছা, বিছানার জিনিসপত্র, বাসনপত্র, টুথব্রাশ ও চিরুনি সবকিছুর আলাদা ব্যবস্থা করতে হবে। অসুস্থ ব্যক্তি যে ঘরে থাকবেন তার জিনিসপত্র সেই ঘরের বাইরে না বের করাই ভালো।
– বাড়ির বাইরে, বাজার, অনুষ্ঠান, স্বজনের বাড়ি কোথাও যাওয়া চলবে না। বাড়িতে বয়স্ক ব্যক্তি, গর্ভবতী, ছোট বাচ্চা বা অন্য কোনও অসুস্থ ব্যক্তি থাকলে তাদের কাছাকাছি যাওয়া নিষেধ।
– অসুস্থ ব্যক্তি ঘর ছেড়ে বেরোলেও অন্যদের থেকে ন্যূনতম এক মিটার দূরত্ব তাঁকে বজায় রাখতে হবে এবং সবসময় মাস্ক পরতে হবে। চিকিৎসকদের মতে, কাপড়ের থ্রি লেয়ার মাস্ক এখন সবচেয়ে নিরাপদ, যা দীর্ঘদিন চলে।
– হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিকে বাড়ির একজন সাবালক সদস্য পরিচর্যা ও দেখভাল করবে। দেখভাল করার ক্ষেত্রে শারীরিক দূরত্ব, গ্লাভস, মাস্ক অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। অসুস্থ ব্যক্তির কাছ থেকে ফিরে আসার পর সাথে সাথে সাবান দিয়ে ভালো করে হাত, পা এবং মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।
– ঘর নিয়মিত অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ভাইরাস যুক্ত পদার্থ দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
– বাড়িতে থাকা পোশা বিড়াল বা কুকুরকে স্পর্শ করবেন না এবং কোয়ারান্টিনে থাকা ব্যক্তির কাছে যাতে পোষ্য না যায় তার দিকে নজর দিতে হবে।
– কোয়ারেন্টিনে থাকার সময় কার্বোহাইড্রেট, ওমেগা-৩ ও হাই প্রোটিন যুক্ত বাড়ির খাবার খেতে হবে। বাইরের খাবার খাওয়া একেবারেই ভুলে যেতে হবে। কখনোই খালি পেটে থাকবেন না। নিজের চাহিদা অনুযায়ী ভরপেট খাবার খাবেন।
– ডায়েটে রাখবেন প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাকসবজি, মাছ, মাংস, ডিম, ইত্যাদি। এসবের পাশাপাশি খান ফলমূল।
– কোয়ারান্টিনে থাকার সময় নিজের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ঠিক রাখতে আয়ুষ মন্ত্রকের নির্দেশিত ঔষধ এবং চিকিৎসকদের নির্দেশ অনুযায়ী কিছু ওষুধ গ্রহণ করতে পারেন। পাশাপাশি যে ওষুধগুলো দীর্ঘদিন ধরে খেয়ে আসছেন সেই সমস্ত ওষুধ নিজের কাছে মজুদ রাখুন এবং সঠিক সময়ে সঠিক নিয়ম মেনে তা খান।
– প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে হবে। এক্ষেত্রে বিশুদ্ধ পানি পান করা আবশ্যক। তেমন হলে পানিকে ভালো করে ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে তারপর সেই পানি পান করুন।
– কোয়ারান্টিন বা গৃহবন্দি থাকা ব্যক্তির অনেক রকম মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন – হতাশা, অবসাদ, একাকীত্ব, রাগ ইত্যাদি। তাই এগুলো থেকে মুক্তি পেতে, নিজের যা কিছু করতে ভালো লাগে তাই করুন। মানসিক এবং শারীরিক দিক থেকে নিজেকে ফিট রাখতে রোজদিন যোগব্যায়াম, ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করুন।
– মনকে ভালো রাখতে বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে ভিডিয়ো কলে কথা বলুন। নিজের পছন্দের গান শুনুন, সিনেমা দেখুন।
– কোনো রকম অস্থিরতা ও শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে ফোনের মাধ্যমে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।


সর্বশেষ - রাজনীতি