রাজনীতে টোপ দেওয়া কোনো নতুন ঘটনা নয়: যখন কোনো দল দেউলিয়া হয়ে যায়, তখন মানুষের সামনে একের পর এক টোপ দিতে থাকে তারা। সাম্প্রতিক সময়ে ‘নির্বাচনের পর জাতীয় সরকার’ গঠনের যে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে বিএনপি, সেটাও ঠিক সেরকমই একটা টোপ।
যেহেতু বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান নিজে একজন দণ্ডপ্রাপ্ত ফেরারি আসামি, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টার দায়ে সে দণ্ডিত, এছাড়াও দুর্নীতি, সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রবাদের ‘গড ফাদার’ হিসেবে জনতার কাছে সে এক ঘৃণ্য ব্যক্তি। তাই সে এখন অন্যান্য সব দলকে ক্ষমতার লোভ দেখিয়ে বিএনপির সঙ্গে যুক্ত করার মাস্টারপ্লান করেছে।
২৮ মার্চ লন্ডনে এক আলোচনা সভায় তারেক রহমান বাংলাদেশের জন্য ‘জাতীয় সরকারের’ একটি রূপরেখা তুলে ধরেছে। সেখানে সে বলেছে- নির্বাচনে বিএনপি জয়ী হলে সব গণতান্ত্রিক দল, শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, কৃষিবিদসহ সব পেশাজীবীকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করবে।
যারা নির্বাচনে জিতবে, যারা জিতবে না কিন্তু গণতন্ত্র ও জনগণের পক্ষের প্লাটফরমে এসে দাঁড়াবে, সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে আমরা জাতীয় সরকার গঠন করব। মূলত, বঙ্গবন্ধুর বাকশাল প্রস্তবানার একটি অংশ ধার করে এবং তা বিকৃত করে এই টোটকা বাজারে ছেড়েছে তারেক।
এটি মূলত দেশের কিছু ছোট রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন বিদেশি শক্তির এজেন্টদেরকে সরকারের অংশীদার বানানোর লোভনীয় প্রলোভন। যারা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য লালায়িত হয়ে আছে, তাদের জন্য টেকেনাক্রাট কোটায় ফ্রি মন্ত্রিত্ব দেওয়ার টোপ এটি। এছাড়া আগামী নির্বাচনে সহিংসতা ছড়ানোর একটি নীল-নকশাও এটি।
কিছু কিছু নির্বাচনি আসনে দুর্বৃত্তদের সমাগম ঘটিয়ে নির্বাচনি সহিংসতার পরিকল্পনা করা হচ্ছে এই ‘জাতীয় সরকার’-এর ফাটকাবাজিকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে। একই সঙ্গে স্বাধীনতাবিরোধী দল জামায়াতকে মাঠে নামানো এবং আওয়ামী লীগের ওপর পরিকল্পিত নাশকতা চালানোর পটভূমিও তৈরি করা হচ্ছে এই টোপের মাধ্যমে।
