কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে এক কৃষকের বাড়িতে লাউগাছের এক থোকায় ৪০টি লাউ ধরেছে। দুই সপ্তাহ আগে কৃষক শামসুল হক ও জয়নব বেগম দম্পত্তির বাড়ির পিছনের মাচায় লাগানো একটি লাউগাছের এক একটি গিঁট (গাছের শাখার সংযোগস্থল) থেকে অসংখ্য লাউয়ের ফুল আসতে থাকে। এর মধ্যে ছোট-বড় মিলে ৪০টি লাউ ধরেছিল এক জায়গাতেই। এর মাঝে কিছু ছোট লাউ পচে ঝড়ে গেছে। এখনও থোকাটিতে ৩৫টি লাউ ঝুলে রয়েছে।
লাউগাছের এই অদ্ভুতকাণ্ড মুখে মুখে ছড়িয়েছে চারদিকে। আর তা দেখতে এখন ভিড় শামসুলের বাড়িতে। প্রতিদিনই লোকজন আসছেন।
বিষয়টিকে হরমোনের সমস্যার (হরমোনাল ডিজঅর্ডার) ফলাফল বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা।
ভূরুঙ্গামারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান জানান, গত ২৮ এপ্রিল জেলা বীজ প্রত্যায়ন কর্মকর্তাসহ উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের পূর্ব কেদার গ্রামের শামছুল আলীর বাড়ি পরিদর্শন করেন তারা।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামানের বরাত দিয়ে আসাদুজ্জামান বলেন, ‘লাউগাছটির এক থোকায় ধরা লাউগুলোর ছবি তুলে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। ছবি দেখার পর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এটি কোনো জেনেটিক্যাল বিষয় নয়। এটি মূলত হরমোনাল ডিজঅর্ডারের ফল যা পরিবেশগত কারণেও হতে পারে।’
এই লাউয়ের জাত উন্নয়নের বিষয়ে ওই কৃষি কর্মকর্তা বলেন, ‘কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, জাত উন্নয়নের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। কারণ এক্ষেত্রে জেনেটিক্যাল বৈশিষ্ট্য বহন করার সম্ভাবনা নেই। তারপরও তারা আমাদেরকে ওই থোকার লাউগুলো থেকে বীজ সংগ্রহ করে পরীক্ষামূলকভাবে চারা তৈরি করে দেখার পরামর্শ দিয়েছেন। আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
তিনি আরও জানান, কৃষক পরিবারটিকে ওই থোকার লাউ থেকে বীজ সংগ্রহ করতে বলেছেন। বীজ পেলেই তারা চারা তৈরির পরীক্ষামূলক কাজ শুরু করবেন।