মুসলিম সম্প্রদায়ের মহিমান্বিত মাস রমজান সন্নিকটে। প্রতি বছর রমজানকে কেন্দ্র করে প্রয়োজনীয় পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে আর্থিকভাবে লাভবান হতে তৎপর হয়ে ওঠে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। তাই তাদের তৎপরতাকে প্রতিহত করতে এবং রজমানের মহিমাকে অটুট রেখে জনজীবনে স্বস্তি বজায় রাখতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, পণ্য সিন্ডিকেট ঠেকাতে ব্যবসায়ীদের দিকে কড়া নজর রাখছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এছাড়া রোজার পণ্যে কারসাজির প্রমাণ পাওয়া মাত্রই আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, এমনকি দায়ী প্রতিষ্ঠানের পণ্য বাজেয়াপ্ত করা হবে বলেও জানা গেছে।
সম্প্রতি সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ রমজান উপলক্ষ্যে ভোক্তাদের পণ্য নিশ্চয়তা সম্পর্কে জানিয়েছেন, আসন্ন রোজার মাসে কোনো পণ্যের দাম বাড়ানোর সুযোগ থাকবে না। রোজা ও ঈদুল ফিতরের সময় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রাখতে এরইমধ্যে ব্যবসায়ীসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের সাথে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রমজানে নিত্যপণ্যের যে চাহিদা দেশে আছে, তার চেয়ে বেশি আমদানি করা হয়েছে। ফলে পর্যাপ্ত মজুদ থাকায় এবার কোনো ধরনের সংকট সৃষ্টি হবে না, মূল্যও বাড়বে না বলেও জানান তিনি।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা সম্পর্কে জানা গেছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে নিয়মিতভাবে বাজার মনিটরিং ও মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বাজার তদারকি করা হবে এবং দ্রব্যমূল্য পর্যালোচনা ও পূর্বাভাস সেল, বিভিন্ন সংস্থা থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার মূল্যের হ্রাস-বৃদ্ধির প্রবণতা পর্যবেক্ষণ করা হবে। পণ্যের মজুদ ও সরবরাহ বৃদ্ধির পাশাপাশি সন্দেহভাজন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তির ওপরও নজরদারি থাকবে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ওপরও সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
সূত্রগুলো বলছে, সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ে কোনরকম বিতর্কে জড়াতে চায় না। ফলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষায় করণীয় নির্ধারণে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকেও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।