প্রতিদিনের মতো মাদরাসা ছুটির পর শিশুটি বাড়িতে এসে মায়ের কাছে কিছু একটা খাওয়ার বায়না ধরে। কিন্তু ওই দিন মন খারাপ করে শুয়ে পড়ে। মায়ের জিজ্ঞাসাবাদে শিশুটি মাকে বলে, ‘আমি আর মাদরাসায় যাইতাম না, হুজুর আমার লগে খারাপ কাম করছে’। মাদরাসার ভেতর এ রকম একটি ধর্ষণচেষ্টার ঘটনা ঘটেছে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের একটি মাদরাসায়।
গত সোমবার (২৯ মার্চ) মামলার পর অভিযুক্ত মাদরাসা শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ওই ইউনিয়নের ফাতেমাতুজ জহুরা নুরাণী হাফিজিয়া মাদরাসায় সকালে পড়তে যায় সাত বছর বয়সের এক শিশু। গত বুধবার সকালে মাদরাসা ছুটির পর ওই শিশুকে শিক্ষক বদরুল আলম বাবুল (৫২) তাঁর কক্ষে ডেকে নেন চকলেট দেওয়ার কথা বলে। শিশুটি জানায়, এরপর ওই হুজুর তার পায়জামাটা ভালোভাবে পরা হয়নি বলে কাছে নিয়ে খুলে ফেলে। একপর্যায়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করলে শিশুটি চিৎকার দেয়।
ওই সময় শিশুটির সঙ্গে আসা অন্য এক শিশু শব্দ শোনে ঘটনা প্রত্যক্ষ করে দৌড়ে চলে গেলে সে-ও (ঘটনার শিকার শিশুটি) হুজুরের কক্ষ ত্যাগ করে। এ ঘটনার বিচার চাইতে গেলে গ্রাম্য সালিসকারীরা ধামাচাপা দিতে হুজুরের পক্ষ নেয়। পরে পুলিশ জানতে পেরে ওই হুজুরকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। আজ সোমবার মামলার পর অভিযুক্ত হুজুর বাবুলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. সাইদুর রহমান জানান, শিশুটির ২২ ধারায় জবানবন্দির জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে।