নেপালে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিঙ্গাপুরের সরকারি সফর সংক্ষেপ করে আগামীকাল দেশে ফিরে আসছেন।
সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লোংয়ের আমন্ত্রণে চার দিনের সফরে গতকাল রোববার সিঙ্গাপুর যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এই সফরে সিঙ্গাপুরের বোটানিক্যাল গার্ডেনে একটি অর্কিডের নামকরণ হবে ‘শেখ হাসিনা। সফরে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে ছয়টি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও সিঙ্গাপুরের ইন্টারন্যাশনাল এন্টারপ্রাইজের মধ্যে একটি সমঝোতা, পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক, আকাশ পথে যোগাযোগ, ডিজিটাল গভার্নমেন্ট ট্রান্সফর্মেশন বিষয়ে সমঝোতা স্মারক এবং এফবিসিসিআই ও এমসিসিআইয়ের সঙ্গে সিঙ্গাপুরের ম্যানুফ্যাকচারিং ফেডারেশনের দুটি সমঝোতা স্মারক রয়েছে এর মধ্যে। আগামী সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে শেখ হাসিনাকে সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন ইসতানায় স্বাগত জানানো হবে। এরপর সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দুটি বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা।
সোমবারে সমঝোতা স্মারক সইয়ের পর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে লি সিয়েন লোংয়ের দেওয়া মধ্যাহ্ন ভোজে যোগ দেবেন। এ ছাড়াও সেদিন বিকালে সিঙ্গাপুর পোর্ট অথরিটিতেও যাওয়ার কথা রয়েছে তার। সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ দূতাবাসের অনুষ্ঠানে যাবেন প্রধানমন্ত্রী।
সফরের দ্বিতীয় দিন সকালে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ সিঙ্গাপুর বোটানিক্যাল গার্ডেন পরিদর্শন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর বিজনেস ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি।
গত বুধবার সিঙ্গাপুর সফর নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী জানান, সিঙ্গাপুর বর্তমানে আসিয়ানের নেতৃত্বে রয়েছে। ফলে প্রধানমন্ত্রীর এই সফর রাজনৈতিক দিক দিয়েও গুরুত্বপূর্ণ। তিনি রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনে সিঙ্গাপুর সরকারের সহযোগিতা চাইবেন। ১৪ মার্চ চার দিনের সফর শেষে দেশে ফেরার কথা ছিল শেখ হাসিনার। কিন্তু তিনি সফর সংক্ষিপ্ত করে আজই ফিরছেন।