২০০৪ থেকে ২০০৬ সময়কালে সংঘটিত বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড (তিন বছরে মৃত্যুর পরিসংখ্যান):
# ক্রসফায়ারে মৃত্যু (গ্রেপ্তার না করে): ২০২ জন
# ক্রসফায়ারে মৃত্যু (গ্রেপ্তারের পর): ৫৪৪ জন
# গ্রেপ্তার না করে শারীরিক নির্যাতনে মৃত্যু: ১১ জন
# গ্রেপ্তারের পর শারীরিক নির্যাতনে মৃত্যু: ৬০ জন
# গ্রেপ্তার না করে গুলি করে হত্যা: ১০৫ জন
# হাজতে গুলি করে হত্যা: ১২ জন
# গ্রেপ্তারের পর মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে দাবি: ২ জন
মোট বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড: ৯৩৬ জন
এ হিসাব যদি ২০০৮ সাল পর্যন্ত করা হয় তাহলে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা দাঁড়ায় ১,১৯০ জনে।
সূত্র: ২০০৮ এ “আইন ও সালিশ কেন্দ্র” থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদন: হিউম্যান রাইটস ইন বাংলাদেশ ২০০৭
১। সংক্ষিপ্ত প্রশ্নঃ
উক্ত সময়কালে সংঘটিত বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডগুলো কি মানবাধিকার রক্ষায় হয়েছিল?
২। রচনামূলক প্রশ্নঃ
এজিদের বংশধররা বলে, “আমরা তো কারবালা দেখি নাই। এজিদ দোষী কিনা জানি না।”
জামাত শিবিরের ভাষ্য – “আমরা তো মুক্তিযুদ্ধ দেখি নাই – কারা যুদ্ধাপরাধী জানি না।”
বিকাশ নুরুরা বলে, “বিএনপি জামায়াতের শাসনামল তো আমরা দেখি নাই, তাই তাদেরকে সমর্থন করায় কোনো দোষ নাই।”
৩। শেষ প্রশ্নঃ বিবেক থাকলে তৎকালীন মানবাধিকার পরিস্থিতির পরিসংখ্যান জানার পর আপনার “নাই অনুভূতি” হয় কিনা বর্ণনা করুন।
লেখক : আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল – সাবেক ছাত্রনেতা, কলামিস্ট ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক।