বিশ্বব্যাপী আজ বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। সারা বিশ্বে দিবসটি উদযাপিত হচ্ছে নানা আয়োজনে। কিন্তু পাকিস্তানে ১৪ ফেব্রুয়ারি পালিত হচ্ছে ‘হায়া দিবস’ হিসেবে। আর এই দিনে মেয়ে ও ছেলে কাছাকাছি আসলেই তাদের জরিমানা করা হবে বলে নোটিশ প্রদান করেছে দেশটির বেশ কিছু উচ্চা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
‘হায়া’ অর্থ লজ্জা। পাকিস্তানে এই ১৪ ফেব্রুয়ারি ঘিরে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। নিয়ম ভাঙ্গলে শিক্ষার্থীদের জন্য ১ হাজার রূপি থেকে ১০ হাজার রূপি পর্যন্ত জরিমানা ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজগুলো।
রাওয়ালপিন্ডির ইসলামিক ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের ডিন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়, সকল নারী শিক্ষার্থীকে হিজাব পরতে হবে, যেখানে তাদের মাথা, কাঁধ ও বক্ষস্থান ঢাকা থাকবে। আর সকল পুরুষ শিক্ষার্থীকে মাথায় টুপি পরতে হবে। এ ছাড়াও নারী ও পুরুষ শিক্ষার্থীদের কমপক্ষে দুই মিটার দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে। অন্যথায় তাদের ৫ হাজার রূপি (পাকিস্তানি) জরিমানা করা হবে এবং অভিভাবকদের কাছে নালিশ পৌঁছানো হবে।
ইসলামাবাদের কায়েদে আজম বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও একটি নোটিশে বলা হয়, নারীদের কালো বোরখা পরতে হবে এবং পুরুষদের টুপি। কেউ নিয়ম ভঙ্গ করলে তাকে ৩ হাজার রূপি জরিমানা করা হবে।
পেশোয়ার মেডিকেল কলেজের নোটিশে বলা হয়, সকল নারী শিক্ষার্থীদের কালো বোরখা পরতে হবে এবং পুরুষদের টুপি। সেই সঙ্গে নারী পুরুষের মধ্যে ৬ মিটারের দূরত্ব থাকতে হবে। এই নিয়ম ভাঙ্গলে ১ হাজার রূপি জরিমানা করা হবে।
কমসেট ইউনিভার্সিটি ইসলামাবাদ তাদের এক নোটিশে জানায়, ১৪ ফেব্রুয়ারি ভেলন্টাইনস ডে উপলক্ষে প্রতি বছরের মত এবার শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু নিয়ম প্রদান করা হচ্ছে। .. সকল পুরুষকে সালোয়ার-কামিজ বা শার্ট প্যান্টের সঙ্গে নামাজের টুপি পরতে হবে। সকল নারীকে ফুল হাতা জামা ও হিজাব পরতে হবে। নারী-পুরুষ কাছাকাছি থাকা যাবে না, কমপক্ষে ২ মিটার দূরত্ব থাকতে হবে। এই নিয়ম না মানলে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে।
একই রকম ঘোষণা দেয় পাকিস্তানের পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়। তবে তাদের নোটিশে নারী-পুরুষের দূরত্ব কমপক্ষে ১০০ মিটার রাখার নির্দেশনা প্রদান করা হয়। সেই সঙ্গে নিয়ম ভঙ্গ করলে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে বলে জানানো হয়।
অন্যদিকে পেশোয়ার বিশ্ববিদ্যালয় কোন বিধি নিষেধ না দিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে।