ক্রমশ হতাশ হয়ে পড়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। তাদের ধারণা, এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কোনো বন্ধুরাষ্ট্র তৈরি করতে পারেনি বিএনপি। যুদ্ধাপরাধীদের সাথে একই জোটে থাকায় গত জাতীয় নির্বাচনেও আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর সমর্থন পায়নি দলটি। এছাড়া পার্শ্ববর্তী ভূ-রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলোর ইস্যুতে বিএনপির অবস্থান কী? তাও জানেন না কেউ। কূল-কিনারা কোনদিকে, এমনকি লক্ষ্যটাও তাদের অজানা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত নির্বাচনের আগে ও পরে নির্বাচনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারের ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর কাছে অভিযোগ করলেও তাতে হালে পানি পায়নি দলটি। উল্টো সরকারের প্রতি আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীগুলোর সমর্থন বেড়েছে। এছাড়া দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আন্তর্জাতিকভাবে সরকারের উপর চাপ প্রয়োগেও ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে দলটির এ উইংয়ের সদস্যরা।
সর্বশেষ জানা গেছে, উপ-কমিটি গঠনের পর থেকে নিজেদের মধ্যে অনলাইনে কিছুটা সক্রিয় থাকলেও এখন পর্যন্ত তেমন কোনো বিশেষ কার্যক্রমই দেখাতে পারেনি দায়িত্বপ্রাপ্তরা।
দলের সিনিয়র এক নেতা বলেন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির কাজ হলো বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলা, যোগাযোগ রাখা। কিন্তু বিএনপির অধিকাংশ দায়িত্বপ্রাপ্তরা এ বিষয়ে কোনো ভূমিকা রাখতে পারেননি। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মাঝেমধ্যে তারা সরকারের বিরুদ্ধে নালিশ করলেও তাতে কোনো লাভ হয়নি। উল্টো সরকারের বিভিন্ন সাফল্য সেসব নালিশকে ম্লান করে দিচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, এখন করোনার সময়। কোথাও কোনো রাজনীতি নেই। আমরা এ বিষয় নিয়ে মাঝেমধ্যে অনলাইনে মিটিং করি। যতদূর সম্ভব হচ্ছে তা করার চেষ্টা করছি।
দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এখন করানোর সময়, রাজনীতির সময় নয়। কীভাবে এই পরিস্থিতি থেকে দেশের মানুষ পরিত্রাণ পাবে সে বিষয় নিয়ে এখন ভাবার সময়।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটি পুনর্গঠন করে বিএনপি। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে ২১ সদস্যের এ কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ করা হয়।
গত ১৭ জানুয়ারি তারেক রহমানের নির্দেশে আগের কমিটি ভেঙে দেয়া হয়। পুনর্গঠিত এ কমিটিতে নতুন কয়েকজন সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এরইমধ্যে কমিটির নির্বাচিত সদস্যদের চিঠি দিয়ে তা জানানো হয়েছে।
কমিটির সদস্যরা হলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবিহউদ্দিন আহমেদ, রিয়াজ রহমান, ড. এনামুল হক চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ব্যারিস্টার নওশাদ জমির, আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল,
মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান, সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফাহিমা মুন্নী, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দিন, তাবিথ আউয়াল ও জেবা খান প্রমুখ।
সর্বশেষ জানা গেছে, উপ-কমিটি গঠনের পর থেকে নিজেদের মধ্যে অনলাইনে কিছুটা সক্রিয় থাকলেও এখন পর্যন্ত তেমন কোনো বিশেষ কার্যক্রমই দেখাতে পারেনি দায়িত্বপ্রাপ্তরা।
দলের সিনিয়র এক নেতা বলেন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির কাজ হলো বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলা, যোগাযোগ রাখা। কিন্তু বিএনপির অধিকাংশ দায়িত্বপ্রাপ্তরা এ বিষয়ে কোনো ভূমিকা রাখতে পারেননি। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মাঝেমধ্যে তারা সরকারের বিরুদ্ধে নালিশ করলেও তাতে কোনো লাভ হয়নি। উল্টো সরকারের বিভিন্ন সাফল্য সেসব নালিশকে ম্লান করে দিচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, এখন করোনার সময়। কোথাও কোনো রাজনীতি নেই। আমরা এ বিষয় নিয়ে মাঝেমধ্যে অনলাইনে মিটিং করি। যতদূর সম্ভব হচ্ছে তা করার চেষ্টা করছি।
দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এখন করানোর সময়, রাজনীতির সময় নয়। কীভাবে এই পরিস্থিতি থেকে দেশের মানুষ পরিত্রাণ পাবে সে বিষয় নিয়ে এখন ভাবার সময়।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটি পুনর্গঠন করে বিএনপি। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে ২১ সদস্যের এ কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ করা হয়।
গত ১৭ জানুয়ারি তারেক রহমানের নির্দেশে আগের কমিটি ভেঙে দেয়া হয়। পুনর্গঠিত এ কমিটিতে নতুন কয়েকজন সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এরইমধ্যে কমিটির নির্বাচিত সদস্যদের চিঠি দিয়ে তা জানানো হয়েছে।
কমিটির সদস্যরা হলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবিহউদ্দিন আহমেদ, রিয়াজ রহমান, ড. এনামুল হক চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ব্যারিস্টার নওশাদ জমির, আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল,
মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান, সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফাহিমা মুন্নী, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দিন, তাবিথ আউয়াল ও জেবা খান প্রমুখ।