বাংলাদেশ সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মিডিয়ায় প্রোপাগান্ডা সৃষ্টির জন্যে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে বিদেশী সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরা। নেপথ্যে কনক সারওয়ার এবং ডেভিড বার্গম্যান।
কাতার ভিত্তিক আল জাজিরা বরাবরই বাংলাদেশ বিরোধী, বিশেষ করে বর্তমান সরকার বিরোধী, ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার যেদিন থেকে যুদ্ধাপরাধের বিচারের প্রক্রিয়া শুরু করলেন, সেদিন থেকেই এই বিচারকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিভিন্নভাবে বিতর্কিত করার পায়তারা চালাতে থাকলো। তাদের সাথে যোগ দিলেন জামাতের লবিয়িস্ট ডেভিড বার্গম্যান ও টোবি ক্যাডম্যান। এমনকি তারা বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা ৩ থেকে ৫ লক্ষ বলে দাবি করলো, যা বরাবরই বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধী শক্তিদের অপপ্রচারের একটি প্রয়াস।
বাংলাদেশে স্বাধীনতার পক্ষের লেখকদের “নাস্তিক ব্লগার” বলে কুৎসা ছড়িয়ে তারা জামাতে ইসলামের রাজনৌতিক স্বার্থ হাসিলের কাজেও সক্রিয় ছিল। এছাড়াও, ৫ই মে ২০১৩ সালে হেফাজতে ইসলামের জ্বালাও পোড়াও কর্মসূচিতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ৫০ জনের অধিক নিহত হয়েছিল বলেও আল জাজিরা মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে, যার সমর্থনে তারা আজ পর্যন্ত একটি দালিলিক বা অন্য কোনো প্রমানও হাজির করতে পারেনি।
মুসলিম ব্রাদারহুডের পক্ষে কাজ করা, সন্ত্রাসবাদে মদদ দেওয়া, উগ্র মতবাদ ও সহিংসতা উস্কে দেওয়া, ও সরকার পতনের ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে সৌদি আরব, বাহরাইন, আরব আমিরাত, জর্ডান ও মিশরে আল জাজিরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের জামাতে ইসলামের সাথে মুসলিম ব্রাদারহুডের গভীর সম্পর্কের কারণেই রাজনৈতিকভাবে আল জাজিরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও আওয়ামী লীগ সরকারের বিপক্ষে অবস্থান নেয় শুরু থেকেই।
বর্তমানে এই দেশের কিছু কুলাঙ্গার বিদেশে বসে আমাদের গর্ব, আমাদের সার্বভৌমত্বের প্রতীক, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী নিয়ে নিয়মিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে যাচ্ছে। তাদের লক্ষ্য বর্তমান সরকারের সাথে সেনাবাহিনীর দূরত্ব সৃষ্টি করা। সহিংসতা ও অস্থিতিশীলতা উস্কে দেওয়ার এই প্রয়াসে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে পর্নোগ্রাফি মামলায় পলাতক আসামি কনক সারোয়ার, পাকিস্তানপন্থী ইলিয়াস হোসেন, ঐক্যফ্রন্টের প্রধান ড কামাল হোসেনের জামাতা ও জামাতের লবিয়িস্ট ডেভিড বার্গম্যান সহ অন্যান্যরা।
এখন শোনা যাচ্ছে সশস্ত্র বাহিনী বিরোধী এই ষড়যন্ত্রকারীদের সাথে হাত মিলিয়েছে জামাত-বান্ধব আল জাজিরাও। তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। দেশের ভাবমূর্তি ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার দায়িত্ব কিন্তু সকলের।