দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ গ্রহণের পর বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সরকারের মন্ত্রিপরিষদ গঠন করেছেন ২৫ জন পূর্ণমন্ত্রী এবং ১১ জন প্রতিমন্ত্রীর সমন্বয়ে। নতুন মন্ত্রিসভা নিয়ে দেশের মানুষের আগ্রহের কমতি ছিল না। কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়, বিশেষ করে অর্থ, পররাষ্ট্র, বাণিজ্য ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে কারা আসছেন, তা নিয়েই দেশবাসীর আগ্রহ এবং কৌতূহল ছিল সবচেয়ে বেশি। আমি যেহেতু দেশের অর্থনীতি এবং আর্থিক খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, তাই আমার নিজেরও আগ্রহ ছিল অর্থ মন্ত্রণালয় নিয়ে।
সংসদ সদস্য আবুল হাসান মাহমুদ আলী অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। তিনি একসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঠিত সরকারে সাফল্যের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। ফলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা আছে বিধায় তিনি এই মন্ত্রণালয়ের কাজে গতি সঞ্চার করে দেশে বিরাজমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ এবং সমস্যা সফলভাবে সমাধান করতে সক্ষম হবেন বলেই আমাদের দৃঢ়বিশ্বাস।
বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করার সুযোগ পাওয়ায় সরকারের ধারাবাহিকতা অব্যাহত আছে প্রায় দেড় যুগ ধরে।
ফলে দেশের চ্যালেঞ্জ এবং সমস্যা যেমন চিহ্নিত, তেমনি অনেক উন্নয়নকাজ চলমান আছে বেশ আগে থেকেই। এমনকি এবারের নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষিত অনেক কর্মসূচি বাস্তবায়নাধীন আগে থেকেই। ফলে সদ্যোগঠিত মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের নতুন করে জানা বা বুঝে ওঠার জন্য সময় নেওয়ার প্রয়োজন হবে না। দায়িত্ব গ্রহণের দিন থেকেই পূর্ণমাত্রায় মন্ত্রণালয়ের কাজ এগিয়ে নিতে পারবেন।
তবে সরকার বিরাজমান চ্যালেঞ্জ এবং সমস্যা সম্পর্কে অবহিত থাকলেও অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিষয়টি অনেকটাই ভিন্ন। কেননা অর্থনীতির চ্যালেঞ্জের ধরন ও মাত্রা ভিন্ন এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক অনেক বিষয়ের সঙ্গে জড়িত। তা ছাড়া অর্থনীতি এবং আর্থিক খাতের বিষয়গুলো সরাসরি মানুষের জীবনযাত্রার ওপর প্রভাব ফেলে। তাই এই সমস্যাগুলো খুব দ্রুত সমাধানের দাবি রাখে। আবার সব সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ একসঙ্গে গ্রহণ করা সম্ভব নয়।
এ কারণেই অর্থ মন্ত্রণালয়ে অগ্রাধিকার নির্ণয় করাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আমাদের নতুন অর্থমন্ত্রীর সামনে অনেকগুলো অগ্রাধিকারের বিষয় আছে।
অর্থনীতিতে অগ্রাধিকারের বিষয়প্রথম অগ্রাধিকার দিতে হবে রাজস্ব-জিডিপির অনুপাত বৃদ্ধি করার ওপর এবং বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারেও তা-ই আছে। এই লক্ষ্য অর্জন করতে হলে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা সন্তোষজনক পর্যায়ে বৃদ্ধি করে দেশের সব প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিককে আয়কর রিটার্ন দাখিলের আওতায় নিয়ে আসতে হবে প্রথমে এবং পরে পর্যায়ক্রমে সামর্থ্য অনুযায়ী কর আরোপ করতে হবে। এই কাজটি সম্পন্ন করতে হবে আগামী তিন-চার বছরের মধ্যে। কিন্তু বর্তমানে যেভাবে জনগণকে চাপে ফেলে বা কিছু অত্যাবশ্যক সেবার শর্ত জুড়ে দিয়ে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা বৃদ্ধি করার চেষ্টা করা হচ্ছে, তাতে জনগণের ভোগান্তি বাড়লেও মূল লক্ষ্য অর্জিত হবে কি না, যথেষ্ট সন্দেহ আছে। অথচ কয়েকটি জনবান্ধব সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে অনায়াসে এই কাজটি করা যায়। সেগুলো হচ্ছে—১. ডিজিটাল পদ্ধতিতে দেশের যেকোনো অঞ্চল থেকে খুব সহজে রিটার্ন দাখিলের ব্যবস্থা করা; ২. প্রথমবারের মতো রিটার্ন দাখিল করলে পর পর দুই বা তিন বছর তাদের ভুলত্রুটির জন্য কোনো রকম দায়ী করা হবে না, বরং ভুলগুলো শুধরে দেওয়া হবে; ৩. সম্পদ বিবরণী দাখিলের ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ, যথা—এক কোটি বা দেড় কোটি টাকার সম্পদের জন্য অর্থের উৎসর ব্যাপারে কোনো রকম কাগজপত্র দাখিলের বাধ্যবাধকতা রাখার প্রয়োজন নেই এবং ৪. ব্যাংক জমা, এফডিআর বা সঞ্চয়পত্র চূড়ান্ত প্রমাণ হিসেবে গণ্য হবে এবং এ জন্য অর্থের উৎস প্রমাণের জন্য পৃথক কাগজপত্র প্রদানের প্রয়োজন নেই। এই সিদ্ধান্তগুলো নিতে পারলে দেশে সব মানুষ নিজে আগ্রহ নিয়ে নিজ উদ্যোগে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে এগিয়ে আসবে এবং সে ক্ষেত্রে দেশের সব প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিককে আয়কর রিটার্নের আওতায় নিয়ে আসা খুব সহজ হবে।
দ্বিতীয় অগ্রাধিকার দিতে হবে দেশে বিরাজমান ডলার সংকট দূর করার ক্ষেত্রে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলার থেকে ২০ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে এবং এই সংকটের কারণে ডলারের বিপরীতে টাকার মাত্রাতিরিক্ত অবমূল্যায়ন হয়েছে, যার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিসহ দেশের অর্থনীতিতে। এই ডলার সংকট দ্রুত কাটিয়ে দেশের রিজার্ভ পূর্বাবস্থায় অর্থাৎ ৫০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার পাশাপাশি ভালো অঙ্কের নিজস্ব ডলার ফান্ডের একটি বাফার স্টক গড়ে তুলতে হবে। সরকারের ঘোষিত ২০৩১ সাল নাগাদ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৩৫ সাল নাগাদ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে
রূপান্তরের লক্ষ্য অর্জন করতে হলে নিজস্ব ডলার ফান্ডের প্রয়োজন হবে। উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ডলার ফান্ড সংগ্রহের সুযোগ ও সক্ষমতা, উভয়ই বাংলাদেশের আছে। প্রয়োজন শুধু কিছু বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে—১. রপ্তানি পণ্য ও রপ্তানি বাজার, উভয়ের ব্যাপক প্রসার ঘটাতে হবে এবং এই কাজে সহযোগিতা করার উদ্দেশ্যে পরিবর্তিত আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে আমাদের রপ্তানি বাণিজ্যেরও আধুনিকায়ন করতে হবে; ২. প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে বিশেষ ধরনের ডলার বন্ড বিক্রির উদ্যোগ নিতে হবে; ৩. আমদানি বিকল্প শিল্প গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।
তৃতীয় অগ্রাধিকার দিতে হবে দেশের পুঁজিবাজার, বিশেষ করে স্টক মার্কেট উন্নয়নে। বিগত দুই বছরের অধিক সময় ধরে দেশে স্টক মার্কেট নিষ্ক্রিয় অবস্থায় আছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। পুঁজিবাজার কখনোই স্থির থাকে না। বাজারে মন্দা বা তেজি ভাব, যা-ই বিরাজ করুক না কেন, স্টক মার্কেট থাকবে কার্যকর। দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি অব্যাহত রাখতে হলে বিনিয়োগবান্ধব এবং কার্যকর পুঁজিবাজারের কোনো বিকল্প নেই। তাই যত দ্রুত সম্ভব কিছু পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে দেশের স্টক মার্কেট চাঙ্গা করার উদ্যোগ নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে যেসব উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে—১. অনতিবিলম্বে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করে বাজারে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা; ২. মিউচুয়াল ফান্ড জনপ্রিয় করে তোলা; (৩) দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে তাদের গ্রাহকের পক্ষে পোর্টফলিও ম্যানেজ করে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার ব্যবস্থা করা এবং ৪. সিকিউরিটিজ আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করে বাজার কারসাজিকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
চতুর্থ অগ্রাধিকার দিতে হবে দেশে একটি কার্যকর বন্ড মার্কেট গড়ে তোলা এবং সরকারের বাজেট ঘাটতি মেটানোর জন্য ব্যাংকঋণ এবং সঞ্চয়পত্র বিক্রির ওপর নির্ভর না করে দীর্ঘমেয়াদি বন্ড ছাড়ার উদ্যোগ নেওয়ার ক্ষেত্রে। বিগত দেড় যুগে সরকারের বাজেটের আকার বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েক গুণ। দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখার স্বার্থে সরকারকে প্রতিবছরই ঘাটতি বাজেট গ্রহণ করতে হয়। আর বাজেটের আকার বড় হওয়ায় ঘাটতির পরিমাণও হয় বিশাল অঙ্কের। আর এই বিশাল ঘাটতি ব্যাংকঋণ এবং সঞ্চয়পত্র বিক্রির মাধ্যমে সংগ্রহ করতে গিয়ে একদিকে সুদ বাবদ সরকারের খরচ বৃদ্ধি পায়, অন্যদিকে সমালোচনা শুনতে হয়। অথচ সরকার তুলনামূলক কম সুদের হারে দীর্ঘমেয়াদি বন্ড বিক্রি করে খুব সহজেই বাজেট ঘাটতি পূরণে অর্থ সংগ্রহ করতে পারে। আর মাত্র কয়েক মাস পরেই সরকারের বাজেট। তাই এখন থেকে বিষয়টি নিয়ে কাজ করলে আগামী বাজেটের ঘাটতি মেটানোর জন্য আর সঞ্চয়পত্র এবং ব্যাংকঋণের ওপর নির্ভর করতে হবে না।
পঞ্চম অগ্রাধিকার দিতে হবে দেশের ব্যাংকিং খাতের মানোন্নয়নের ওপর। আমাদের দেশের ব্যাংকিং খাতে বিরাজমান বিশৃঙ্খল অবস্থার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এই খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনে দেশের ব্যাংকিং খাতকে একটি মানসম্পন্ন অবস্থায় দাঁড় করাতেই হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। আমাদের দেশের যে রিজার্ভ সংকট, অধিক আমদানিমূল্য, রপ্তানি সমস্যা এবং উচ্চ দ্রব্যমূল্য, তার অনেক কারণের মধ্যে অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে ব্যাংকিং খাতের অব্যবস্থা। আন্তর্জাতিক মানের ব্যাংকের সঙ্গে আমাদের দেশে ব্যাংকিং খাত তাল মিলিয়ে চলতে না পারায় আন্তর্জাতিক লেনদেনে সমস্যা হয় এবং অনেক ক্ষেত্রে লেনদেন খরচ অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পায়। মোটকথা, ২০৩১ সাল নাগাদ মধ্যম আয়ের দেশ, ২০৩৫ সাল নাগাদ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে
রূপান্তর এবং ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত বিশ্বের কাতারে পৌঁছানোর লক্ষ্য অর্জন করতে হলে মানসম্পন্ন ব্যাংকিং খাত নিশ্চিত করতে হবে সবার আগে। কাজটি কঠিন হলেও অসম্ভব নয় মোটেও। কিছু সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমেই কাজটি করা সম্ভব এবং সেসব পদক্ষেপের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে—১. ব্যাংকে সুশাসন নিশ্চিত করা অর্থাৎ বোর্ড এবং ব্যবস্থাপনা টিমের দায়িত্ব-কর্তব্যের মধ্যে সুস্পষ্ট সীমারেখা নির্ধারণ; ২. ব্যাংক পরিচালনার সব ক্ষেত্রে ডিজিটাল পদ্ধতি প্রবর্তন করে জাল-জালিয়াতি এবং ম্যানিপুলেশনের সুযোগ বন্ধ করা এবং ৩. যোগ্য ও পেশাদার ব্যাংকারদের উপযুক্ত স্থানে দায়িত্ব পালনের সুযোগ করে দেওয়া।
ষষ্ঠ অগ্রাধিকার দিতে হবে দেশের ব্যাংকিং খাতের খেলাপি ঋণ সমস্যার সমাধানে। অনেকেই ব্যাংকিং খাতের সংস্কার এবং খেলাপি ঋণ সমস্যার সমাধান একত্রে দেখার চেষ্টা করতে পারেন। কিন্তু বাস্তবে এই দুটি সমস্যার ধরন ও মাত্রা একেবারেই ভিন্ন। তাই দুটি সমস্যাকে পৃথকভাবে চিহ্নিত করে পৃথকভাবেই সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে। দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে বছর দুয়েকের মধ্যেই দেশের ব্যাংকিং খাতকে একটি মানসম্পন্ন অবস্থানে উন্নীত করতে হবে। পক্ষান্তরে খেলাপি ঋণ সমস্যার সমাধান করতে হবে দীর্ঘমেয়াদি এক বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে। সবচেয়ে বড় কথা, আগে দেশের ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনে ইচ্ছাকৃত এবং ভুলভ্রান্তি বা অবজ্ঞার কারণে খেলাপি ঋণ হওয়ার সুযোগ বন্ধ করতে হবে। তার পরেই বিদ্যমান খেলাপি ঋণ সমস্যার সমাধানে হাত দিতে হবে।
এ ছাড়া আরো কিছু অগ্রাধিকারের বিষয় আছে; যেমন—মূল্যস্ফীতি, সময়োপযোগী মুদ্রানীতি। এগুলোকে অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে। অন্যান্য মন্ত্রণালয়, বিশেষ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মিলে এই কাজগুলো করতে হবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অগ্রাধিকারের খাতগুলো এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে এগুলোর মধ্যে র্যাংকিং করা প্রায় অসম্ভব। বলা চলে, প্রতিটি অগ্রাধিকারের বিষয় সমান গুরুত্ব বহন করে। তাই এসব খাতে যুগপৎ পদক্ষেপ নিতে হবে। চ্যালেঞ্জ এবং সমস্যাগুলো একেবারেই চিহ্নিত। অগ্রাধিকারও নির্ণয় করা আছে। প্রয়োজন শুধু গতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে বা আউট অব দ্য বক্স কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ। আমাদের বিশ্বাস, নতুন অর্থমন্ত্রী দেশের অর্থনীতির অগ্রাধিকারগুলো বেশ ভালোভাবেই অবহিত আছেন। এখন শুধু পদক্ষেপ গ্রহণের পালা।
লেখক : নিরঞ্জন রায় – সার্টিফায়েড অ্যান্টি মানি লন্ডারিং স্পেশালিস্ট ও ব্যাংকার, টরন্টো, কানাডা