বিদ্যুৎচালিত ঢেঁকি নির্মাণ করেছে পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া উন্নয়নী ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থীরা। এবার তাদের নির্মিত সেই ‘মোটোরাইজড ঢেঁকি’ পাড়ি দেবে বাংলাদেশ। রাজশাহীর নবাবগঞ্জের একটি সংস্থা বাঁকুড়ায় তৈরি এই বৈদ্যুতিক ঢেঁকি কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সেই লক্ষ্যেই পুরো প্রকল্পের কাজ ঘুরে দেখেছেন সংস্থার অন্যতম কর্ণধার মোহাম্মদ রেজাউল হাসান।
বাংলার এক সময়ের অন্যতম ঐতিহ্য ‘ঢেঁকি’ যখন বিলুপ্তির পথে, ঠিক তখনই ২০১৯ সালে বিদ্যুৎচালিত ঢেঁকি তৈরি করে ইতিহাস তৈরি করেন বাঁকুড়া উন্নয়নী ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা। কলেজ সূত্রে জানানো হয়েছে, রাজ্য খাদি ও গ্রামোন্নয়ন উদ্যোগের পাশাপাশি কোচবিহার কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এমনকি ১২শ’ কিলোমিটার দূরের মহারাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠানেও এই ঢেঁকি পৌঁছে গেছে।
বাঁকুড়া উন্নয়নী ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের চেয়ারম্যান শশাঙ্ক দত্ত বলেন, ‘এদেশের পাশাপাশি বিদেশেও আমাদের তৈরি মোটোরাইজড ঢেঁকির চাহিদা বাড়ছে।’ ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য রোগ প্রতিরোধে ঢেঁকি ছাঁটা চাল খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। আর সেই চাল এই ঢেঁকিতেই তৈরি করা সম্ভব। কলেজের তরফে তারা এই ঢেঁকির প্যাটেন্টের জন্য আবেদন করেছেন। পুরো বিষয়টি প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশের ওই সংস্থার কর্ণধার মোহাম্মদ রেজাউল হাসান জানান, আমরা বহু দিন ধরেই এমন একটি ঢেঁকির খোঁজ করছিলাম। নিজেরা তৈরির চেষ্টা করে সফলতা এলেও সেই কাজে সন্তুষ্ট ছিলাম না। পরে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বাঁকুড়ার এই ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের তৈরি ঢেঁকির সন্ধান পাই। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে আমরা এখানে পৌঁছে গেছি।
বিষয়টি নিয়ে বাঁকুড়ার এমপি ভারতের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডা. সুভাষ সরকার বলেন, শুধু প্রতিবেশী বাংলাদেশ কেন, অনান্য দেশেও পাড়ি দিয়ে বাঁকুড়ার নাম উজ্জ্বল করবে এই ঢেঁকি।