দেশে টিভি চ্যানেলের সংখ্যা বেড়েছে, একই সঙ্গে বেড়ে গেছে সৃজনশীলতার দীনতা। চলছে অন্ধ অনুকরণ, মৌলিকত্বের ছোঁয়া দুরবিন দিয়েও খুঁজে পাওয়া যায় না। একটা চ্যানেল হয়তো নিজস্ব চিন্তাচেতনায় কোনো অনুষ্ঠানে কিছু নতুনত্ব নিয়ে আসলো, দেখা যায় অন্য চ্যানেলগুলো হুবহু তা কপি করছে। এই অনুকরণ প্রবণতা সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে ইভেন্টগুলোতে।
সব চ্যানেলই এখন কমবেশি ইভেন্ট করে থাকে। গানের প্রতিযোগিতা, সুন্দরী প্রতিযোগিতা, সেলিব্রিটিদের অ্যাওয়ার্ড প্রদান ইত্যাদি নানা ধরনের ইভেন্ট চলে বছরজুড়েই। একটু খেয়াল করলেই দেখবেন, একটা আরেকটার হুবহু কপি। ইভেন্টের ধরন, প্রেজেন্টেশন, পারফরম্যান্স, প্রোগ্রাম, সেট সর্বত্রই অনুকরণ। কোথাও নেই নিজস্ব আইডিয়া। কোনটা আসল, কোনটা নকল সেটাও ধরা মুশকিল। অনেকেই বলাবলি করছেন, এখন কপি করা বাকি আছে কেবল জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারটাই।
এই যে অনুকরণ প্রবৃত্তি, এর ফলাফল মোটেও শুভ নয়। কোনো চ্যানেল নতুনত্বের চমক নিয়ে হয়তো একটা ইভেন্ট করল, দর্শকও তা লুফে নিলো। পরক্ষণেই যখন অন্য চ্যানেলগুলো একই আইডিয়া নিয়ে হুবহু প্রায় একই ধরনের ইভেন্ট করতে থাকে, এতে দর্শকদের মাঝে একঘেয়েমি ভর করে। তারা টিভির সুইচ বন্ধ করে নতুনত্বের সন্ধানে চলে যায় অনলাইন প্লাটফর্মে। ইভেন্টগুলো যেমন গ্রহণযোগ্যতা হারায়, সামগ্রিকভাবে টিভি দর্শকও কমে যায়।
লেখক : রুদ্র মাহমুদ – ব্লগার ও অনলাইন একটিভিস্ট